হাঁটুর ব্যথা কী?
হাঁটুর ব্যথা হলো হাঁটুর আশেপাশে বা হাঁটুতে ব্যথা । হাঁটু জয়েন্টে চারটি হাড়ের মধ্যে একটি উচ্চারণ থাকে: ফিমার , টিবিয়া , ফিবুলা এবং প্যাটেলা । হাঁটু পর্যন্ত চারটি বগি আছে। এগুলি হল মধ্যবর্তী এবং পার্শ্বীয় টিবিওফেমোরাল কম্পার্টমেন্ট, প্যাটেলোফেমোরাল কম্পার্টমেন্ট এবং উচ্চতর টিবিওফিবুলার জয়েন্ট।
হাঁটুর ব্যথার হলে কী হয়?
হাঁটু ফুলে যাওয়া, হাঁটুর সন্ধি শক্ত হয়ে যাওয়া, হাঁটু লাল বর্ণ হওয়া, গরম অনুভব করা, হাঁটু ভাঁজ করতে সমস্যা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এ সময় হাঁটাচলা বা দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে সমস্যা হয়। চলাফেরার সময় হাঁটু ভাঁজ করলে শক্ত মনে হতে পারে, ব্যথা অনুভব হতে পারে। হাঁটুর শক্তি কমে যেতে পারে; ফলে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করতে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব হয়ে থাকে।
হাঁটুর ব্যথার কারণ:
হাঁটুর ব্যথার পেছনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে, যেমনঃ
অতিরিক্ত ওজন: অতিরিক্ত ওজন হাঁটুর চাপ বা ব্যাথা উৎপন্ন করতে পারে।
জীবনযাপনের অভ্যন্তরীণ কাজ: অতিরিক্ত বলবিশেষ প্রযুক্তির কারণে, যেমন অত্যধিক হাঁটু বা ধাক্কা।
মাংসপেশী প্রতিরোধের সমস্যা: মাংসপেশী হাঁটুতে ক্ষতিগ্রস্ত হলে হাঁটু ব্যথা হতে পারে।
জোড় প্রদাহের সমস্যা: হাঁটুতে জোড় প্রদাহ হলে এটি হাঁটুর ব্যথার কারণ হতে পারে।
পুরুষ ও মহিলা হরমোনাল পরিবর্তন: মহিলা গর্ভধারণের সময় হলে হাঁটু ব্যথা দেখা যেতে পারে।
বয়সের জন্য প্রাকৃতিক হাঁটুর প্রতি নম্রতা অনুভব করা: বয়সগতভাবে মাংসপেশী ও হাড়ের ক্ষতি হতে হাঁটুর ব্যথা হতে পারে।
হাঁটুর চিকিৎসায় ব্যায়াম:
ম্যাটে সোজা হয়ে পা সোজা করে বসুন। এবার হাঁটুর নিচে একটা তোয়ালে রোল করে রাখুন। হাঁটু দিয়ে তাতে চাপ দিন। ১০ সেকেন্ড ধরে শরীরে অন্যান্য অংশ স্বাভাবিক রাখুন, শ্বাস–প্রশ্বাস নিন। এবার হাঁটু শিথিল করুন ও অন্য হাঁটু দিয়ে চাপ দিন। এভাবে ১০ বার করুন।
একটা চেয়ারে সোজা হয়ে পা ঝুলিয়ে বসুন। পা যেন মেঝে থেকে ওপরে থাকে। এবার একটা পা ধীরে ধীরে ওপরে তুলতে তুলতে সোজা মেঝের সমান্তরাল করুন। ১০ সেকেন্ড ধরে রেখে নামিয়ে নিন। এবার অপর পা দিয়ে করুন। ১০ বার করুন, দিনে দুইবার।
হাঁটুর ব্যথার ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা:
হাঁটুর ব্যথার ফিজিওথেরাপি হলো একটি কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি, যা হাঁটুর ব্যথা ও সমস্যাগুলি মোকাবিলায় সাহায্য করে। এটি অনেক প্রকারের হাঁটুর ব্যথা ও সমস্যার জন্য কার্যকর হতে পারে, যেমন জটিল হাঁটুর ব্যথা, হাঁটু প্রস্থততা, স্থুলতা অথবা বা বাইরের কারণে উদ্ভাবিত আক্রান্ত হাঁটু ব্যথা। ফিজিওথেরাপি প্রক্রিয়াগুলি হাঁটুর পাশে কাজ করে, হাঁটুর জন্য সঠিক সমর্থন ও স্থায়িত্ব প্রদান করে, যাতে আপনি সাধারণ প্রতিষ্ঠানে পেশা-প্রযুক্তিতে যোগাযোগ প্রাপ্ত হতে পারেন।
এই নিম্নলিখিত কম্পোনেন্টগুলি ব্যবহার করে ফিজিওথেরাপিস্ট হাঁটুর ব্যথার চিকিৎসা করেন:
ব্যথা নির্ধারণ: প্রথমেই, ফিজিওথেরাপিস্ট হাঁটুর ব্যথার এবং সমস্যার কারণ নির্ধারণ করেন।
হাঁটুর দক্ষতা মূল্যায়ন: ফিজিওথেরাপিস্ট এই মূল্যায়ন ব্যবহার করে হাঁটুর দক্ষতা ও মুক্তিযোগ্যতা নির্ধারণ করেন।
হাঁটুর সমর্থন: অনেক সময় একটি সঠিকভাবে তৈরি করা হাঁটু বন্ধন ব্যবহার করে হাঁটুর সমর্থন প্রদান করা হয়।
ব্যাক্টেরিয়াল সংস্কৃতি: ব্যথার কারণ যদি ব্যাক্টেরিয়াল হয়, তবে ফিজিওথেরাপিস্ট প্রয়োজনীয় প্রেসক্রিপশন দেয়।
ব্যাস্কুলার প্রবাহন উন্নতি: হাঁটুর উন্নতির জন্য, প্রয়োজনে ফিজিওথেরাপিস্ট ব্যাস্কুলার প্রবাহনের জন্য প্রশিক্ষণ দেয়।
ব্যাবস্থিত ব্যায়াম ও ব্যবহারকারীর প্রশিক্ষণ: হাঁটুর ব্যথা কমাতে ব্যাবস্থিত ব্যায়াম ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
হাঁটুর ব্যথার জন্য ব্যবহারযোগ্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম: ফিজিওথেরাপিস্ট সাধারণত হাঁটুর ব্যথার জন্য ব্যবহারযোগ্য সরঞ্জাম প্রদান করেন, যেমন হাঁটু বন্ধন, ব্যবহারযোগ্য জোর প্রয়োগ ডিভাইস।
জীবাণুবিশেষ চিকিৎসা: হাঁটুর ব্যথা যদি জীবাণুবিশেষ কারণে হয়, তবে এর জন্য বিশেষভাবে কার্যকর চিকিৎসা প্রয়োজন।
ব্যবহারকারীর পরামর্শ: ফিজিওথেরাপিস্ট কর্মী হাঁটুর ব্যথার জন্য এবং পরবর্তী আপেক্ষিক সংশ্লিষ্ট ব্যবহারকারীদের জন্য উপযুক্ত পরামর্শ প্রদান করেন।
প্রশিক্ষণ ও সংশ্লিষ্ট পরামর্শ: একজন ফিজিওথেরাপিস্ট প্রয়োজনে ব্যক্তিগত প্রশিক্ষণ এবং সংশ্লিষ্ট পরামর্শ প্রদান করতে পারেন।
স্থায়িত্ব ও সাপোর্ট: হাঁটুর সমর্থন ও প্রেরণামূলক সাপোর্ট প্রদান করা হয় যাতে রোগীগণ চিকিৎসার পথে নিশ্চিত থাকেন।